ফেসবুকে সেক্স চ্যাট

কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি, কখনো দিন, কখনো রাত, চির পরিবর্তনশীল এই শহরের কোনে-কোনে পরিবর্তনের ছোঁয়া। ফেসবুক টুইটারে এগিয়ে যাই কলকাতা, তার পরনে ডেনিম আর ট্যাঙ্ক টপ। কফি হাউসের আড্ডা নেই, কিন্তু আছে সিসিডি বারিস্তা, আছে পাঁচতারা কফি শপ। তবুও জেন রইয়ে যাই কলকাতা, কখন মিনার বাঁ ইমারৎ হইয়ে, কখন হৃদয়ের কোনে সৃতি হয়ে। কত নতুন মানুষ আসে, কত হারিয়ে যাই, কিছু ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে, কেও বা রেখে যাই ফুট প্রিন্ট।

ভাল আর খারাপের মাঝে আমি বেরে উঠি এই শহরে। কৈশোর থেকে আজ পর্যন্ত হয়ে যাওয়া নানান ছিন্ন ঘটনার ছোট্ট বিবরনে এই গল্প।

আমি আলিশা, কলকাতাই জনম, এখন লস আঞ্জেলেসে, একটা এম এন সি কোম্পানিতে কাজ করি, সকালে বেরুই, সন্ধ্যেই ফেরা, এটাই নিত্য দিনের রুটিন।

সেদিন ২০১৩, জানুয়ারির ২৭ তারিখ, বরফের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরেছি, প্রচণ্ড ক্লান্ত, দরজা খুলেই দেখলাম, ল্যান ফোন টা ব্লিঙ্ক করছে, ২-৪ টে ভয়েস মেইল। ব্যাগ থেকে বারকরে দেখলাম ১টা মেইল নোটিফিকেশন, আর কিছু নই এই মাসের শ্যালারই। বাথরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে টিভি টা অন করেছি, মোবাইল টা একটা ছোট্ট রিং করে থেমে গেল, মিসড কল, ০০৯১ দিয়ে নাম্বার, কলব্যাক করতেই ওদিক থেকে ভেসে এলো।

- কিরে ভুলেই গেছিস, কনও পাত্তা নেই,

বুঝলাম রিঙ্কি, আমার ছোটো বেলার বন্ধু, ১২ এ এক সঙ্গে পরতাম, এখন বিয়ে করে নিয়েছে, এক কন্যার মা। প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলে পুরো ক্লান্তি দূর হয়ে গেল। কিতু একটা খবর আমার মন খারাপ হয়ে গেল, আমাদের আর এক বন্ধু রিয়া, বিয়ে করেছে ১ বছর, কিন্তু ওর বর নাকি ওকে টাইম দেই না। ফোন করেও পাওয়া গেলনা, ল্যাপটপ টা নিয়ে রিয়া লিখে ফেসবুকে সার্চ করলাম, ছবি দেখে চিনলাম কিন্তু কনও মিছুয়াল ফ্রেন্ড নেই। ফ্রেন্ড রেকুএস্ত টা পাঠিয়ে সে দিন কার মতন শুয়ে পরলাম।পরের বাকি দিন গুলো কেটে গেল বাস্ততার মধ্যে। শনিবার ফেসবুক টা খুলেদেখলাম রিয়া এখনও accept করিনি। যাইহোক ওর ওয়াল টা দেকছিলাম, ও প্রতিদিন অনলাইন এসেছে, কমেন্ট করেছে কিন্তু কনও রেসপন্স নেই আমার request –এ। ভাবলাম ওর ফেসবুক টা হ্যাক করতে হবে, কনও hacking knowledge নেই, ওর ফেসবুক আঃই ডি আর ওর পুরনো মোবাইল নাম্বার টা দিয়ে চেষ্টা করতেই খুলে গেল ওর প্রোফাইল। ফ্রেন্ড-লিস্ট মাত্র ৫ জন, ১৭ টা পেন্ডিং ফ্রেন্ড রিকুয়স্ট, ১টা আন-রিড মেসেজ, “Kalker enjoymenter jonno onek dhonnobad”. কিছুখন পড়ে একটা রেপলাই গেল “Wait koro abar dakbo”.

মেসেজ হিস্ট্রি দেখে আমি চোমকে গেলাম। এ কি রিয়া তাহলে ফেসবুকে সেক্স চ্যাট করে।!!!কয়েক গুচ্ছ গরম লাইন, সঙ্গে কিছু বেআবরু ছবি, এই দিয়েই ভরপুর মিসেস রিয়া ও মিস্টার এক্স এর ফেসবুক কনভারসেশন। ওপর নিচে দেখেনিয়ে লগ আউট করতে যাবো, একটা ফাইল attachment, ওপরে লেখা

Riya: ‘Recording ta pathale na!’

Mr. X: ‘Attachment Voice 0166”

এ এম আর ফাইল টা ডাউনলোড করে হেড-ফোন টা কানে লাগালাম, সেই রোম হরসক কথোপকথনের লিখিত রূপ নিচে –

হ্যালো, কেমন আছো,……………………

.

.

.

.

Riya: তুমি কি আমাকে ফুল সাটিসফেকসন দিতে পারবে?

Mr. X: কি!

Riya: তুমি কি আমাকে ফুল সাটিসফেকসন দিতে পারবে, যেটা আমার বরের কাছে পাইনি? তাহলে আমার অন্য ছেলে যোগার করার দরকার পরবেনা। আমি… আমার একটা পারফেক্ট বয়-ফ্রেন্ড চাই।

Mr. X: হাঁ দিতে পারব,

Riya: কি দিতে পারবে,

Mr. X: Satisfaction

Riya: কিভাবে দেবে,

Mr. X: তুমি যেভাবে চাও

Riya: তুমি এক কাজ কর, আগামী রবি বার আমার ফ্লাটে এসো।

Mr. X: আমি ওই এরিয়া ঠিক চিনি না।

Riya: আমি বাইরে থেকে নিয়ে আসব, আর হাঁ দু প্যাকেট কনডম নিয়ে এসো,

Mr. X: কেন?

Riya: তিন চার ঘণ্টা থাকবে, আমার শরীরের ওপর দু প্যাকেট শেষ করতে পারবে না?